Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

বোবা ৬ষ্ঠ পর্ব লেখক:- Safayet rana



রোজা :-নিল তুমি একমাত্র আমার,তোমাকে খুব ভালবাসি,বিশ্বাস করো এই নাটক টা না করা ছাড়া আমার আর কিছু করার ছিলো না,(মনে মনে বলতে লাগলো)
১ মাস পর,
রেস্টুরেন্টে Job টা করছিলাম,তারা কে ভুলতে পারছিনা,তাই মনোযোগ কাজে দিলাম,
খুব কষ্ট হয়,
তারা আমার একটু খবর ও নিলো না,
তারার সাথে দেখা করতে খুব মন চাচ্ছে,
তাই একটা মেসেজ দিলাম-
আমি- আজ কি একটু শেষ বারের মতো দেখা করতে পারবা?
তারা:-(২ ঘন্টা পর)পার্কের আসো বিকাল ৫ টায়,
আমি:- ওকে(মেসেজে)
আমি দাড়িয়ে আছি তারার অপেক্ষায়,
আমি:- তারা কেমন আছও(হাত দিয়ে ইশারা করে)
তারা:- (একটু হাসছে)আমি ভালই আছি,
[কেমন যেনো লাগলো তারাকে]
আমি:-পাশে ভাইটা কে তারা?(ইশারা করে)
তারা:-এই সে ছেলে যে আমাকে একটা কিডনি দান করেছিলো!এবং ও আমাকে ভালবাসে আমিও ওকে ভালবাসি বুজছো নিল!আমি চাই আমাকে আর ডিস্টাব করো না,
(খুব অবাক লাগলো সাথে সাথে চোখটা ভিজে গেলো তাই অন্য দিকে তাকিয়ে চোখ মুছে নিলাম,তারা দেখলে ভাববে আমি ছলনা করছি,কিডনি আমি দিলাম কিন্তু কেডিড অন্য জনের নিলো,রোজা তুমি আমার জীবন নিয়ে ভালই খেলছো)
আমি:- দুইজনকে বেশ মানিয়েছে(হাত দিয়ে ইশারা করে)
তারা:-(প্রতিশোধের হাসি দিলো)
(রাস্তায় আনমনে হাটছি আর ভাবছি তারা তুমি একদিন বুজতে পারবে যে তুমি কতোটা ভুল করেছো তখন হয়তো খুব দেরি হয়ে যাবে শত খোজা খুজির পর ও পাবে না,পরিস্থিতির শিকার আমি তাই এমন টা হচ্ছে আমার সাথে,আল্লাহর উপর আস্থা রাখলাম একদিন না একদিন সব ঠিক হবে)
রেস্টুরেন্ট এ কাজ করছিলাম
এই ওয়েটার(কেউ ডাকদিলো)
দেখি তারা!
আমি:- (যাবো নাকি না যাবো ভাবছি,সব স্টাপরা যেহেতু ব্যস্ত তাই আমি গেলাম)
তারা:-তুই দেখি এই রেস্টুরেন্টে কাজ করোস(হাহাহা)
[তুই কথা টা কলিজায় লাগলো]
আমি:- মেডাম কি কি লাগবে বলুন?(হাত দিয়ে ইশারা করে)(বুকে চাপা কষ্ট নিয়ে)
তারা:- তারপর অর্ডার দিলো,
(সব খাওয়ার টেবিলে রাখছিলাম হঠাত তারা গায়ে একটু পানি পরে গেলো)
ঠাসসসসস এই জানোয়ার বোবা বাচ্চা বোবা কি করলি এটা,দিলিতো আমার কাপড় নষ্ট করে!(রেস্টুরেন্ট এ সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে)(দৌড়ে পালিয়ে যেতে ইচ্ছে করছে)
আমি:- সরি মেম,সরি (হাত জোর করে ক্ষমা চাইলাম)
(তারাতারি রেস্টুরেন্টের ওয়াশ রুমে গেলাম নাহলে আমার কান্না সবাই দেখে যেতো)
আমি:- (চোখের জল পড়তে লাগলো শুধু)আমি কি দোষ করছিলাম তারা, যার কারণে প্রতিটা পদে পদে আমি অপমানিতো হচ্ছি,
প্রায় ১ ঘন্টা কাঁদতে কাঁদতে আমি ওয়াশ রুমের ফ্লোড়ে ঘুমিয়ে গেলাম,একজন স্টাপ আমাকে উঠাই,
রেস্টুরেন্টে ডিউটি শেষ আমার
রাস্তায় হাটতেছি হঠাত রোজা সামনে এসে জয়ের হাসি দিলো,
রোজা:- এখন তুমি আমার হয়ে যাও,তোমার কাছে আর কোনো পথ খোলা নেই।
আমি:-২ দিন সময় চাই (একটু হাসি দিয়ে কারণ আমি তো এ শহর ছেড়ে চলেই যাবো)
[ট্রেন ছেড়ে দিয়েছে ফুল ফেমেলীকে নিয়ে চললাম অজানা শহরে,তারার সব কথা মনে পড়তে লাগলো,
ট্রেন ছুটে চলছে আর তারার থেকে ও দুরে চলে যাচ্ছি,তারার ফটো টা দেখছিলাম]
আম্মা:- একদম কাদবি না বাবা!আমি তোকে একটা পরি এনে দিবো দেখিস,যে তোর বিপদ আপদে যে পাশে থাকবে,
আমি:-আমি একদিন খুব বড় হবো,বড় গাড়ি সব হবে আমার(মনে মনে বললাম)
[ট্রেন থেকে নেমে নতুন গন্তব্যে দিকে ছুটলাম]
বি.দ্র.:- [(কেউ বাজে মন্তব্য করবেন না প্লীজ আগের পর্ব গুলা না পড়া থাকলে আমার আইডি থেকে পড়ে নেন তারপর সব বুজতে পারবেন)]
৭ম পর্ব টা আজ রাত ৯ টায় পাবেন,
আমার আইডি বা গ্রুপে পাবেন।

Post a Comment

0 Comments