সকালে ঘুম থেকে উঠতেই তাকিয়ে দেখি একজন বসে আছে চোখ দুটো লাল হয়ে আছে।আমি ভুত বলো চিৎকার করার আগেই আমার মুখ চেপে ধরলো।ভালো করে তাকিয়ে দেখলাম ওটা জান্নাত।
আমিঃকি ব্যাপার তোমার এই অবস্থা কেনো মনে হচ্ছে ঘুমাও নাই সারারাত কান্না করছো।
জান্নাতঃহারামি কুত্তা শয়তান উল্লুক বান্দর ফোন কেনো বন্ধ রাখছিলি।
আমিঃআর বলো না ফোনে চার্জ ছিলো না বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো তাই ফোন চার্জে দিয়েছিলাম।
আর কিছু বলতে দিলো না আমার বুকের উপর বসে কিল ঘুষি দিতে লাগলো।
আমিঃওই লাগছে তো।
জান্নাতঃলাগুক আজ তোকে মেরেই ফেলবো তুই আমায় কষ্ট দিছিস।
আমিঃআমি আবার কোথায় কষ্ট দিলাম।
জান্নাত মার থামিয়ে আমায় শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো আমি তো অবাক হয়ে আছি। আমি ওকে ধরিনি এখনো।
জান্নাতঃকুত্তা আমায় ধর।
ওর রাগি কথায় আমি ভয়ে ভয়ে ধরলাম।
জান্নাতঃতুমি কেনো বোঝো না এই পাগলীটা তোমার পাগল হয়ে গেছে তোমায় ভালোবেসে ফেলেছে।
এই কথাগুলা কান্না কন্ঠে বললো আমারো শুনতে খুব ইচ্ছা করছিলো ওর এই কথাটা শুনে কেনো জানিনা মনের মধ্যে অদ্ভুদ ভালোলাগা কাজ করছিলো।
জান্নাতঃজানো সেই দিন তোমায় যখন বালিশ দিয়ে রেগে চেপে ধরছিলাম তুমি যখন নড়াচড়া করছিলা না তকন আমার অনেক কষ্ট হচ্ছিলো কান্না করে দিয়েছিলাম ভেবেছিলাম তুমি হয়তো মারা গেছো।
আমিঃআমি তো ইচ্ছা করে ওরকম করছিলাম কিন্তু আজ তোমার এই অবস্থা কেন।আর ছেড়ে দিলাম।
জান্নাতঃছেড়ে দেখ তোরে গুলি করে মারমু। জানিনা কেনো কিন্তু তোমাকে কিভাবে যেনো ভালোবেসে ফেলেছি তোমায় রাতে অনেক ফোন দিই তকন বন্ধ পাই অনেক কান্না করি ভেবেছিলাম তোমার হয়তো কিছু হয়েছে সকাল হতেই এখানে চলে আসি।
আমিঃআমায় ভালোবাসো??
জান্নাতঃঅনেক।
আমি ভাবলাম একটু মজা করা যাক।
আমিঃকিন্তু আমি তো পারিনা কাল একজন প্রোপজ করছে তারটা এক্সেপ্ট করবো ভাবছি এখন তুমি যদি করো তাহলে ভেবে দেখতে পারি।
জান্নাতঃনা না আমি এখনি করছি।
আমিঃহুমম।
জান্নার ওর মাথার ফুলটা খুলে আমার সামনে হাটু গেরে বসলো,,,,
i love you
আমিঃকাকে বললা??
জান্নাতঃআমার বোনের দেবরটাকে।
আমিঃভালোবাসবা কারে??
জান্নাতঃআমার সামনে দাড়িয়ে আছে যে।
আমিঃবিয়ে করবা কাকে।
জান্নাতঃআমায় i live you বলে বুকে জড়িয়ে ধরে কপালে একটু চুমু একে দেবে তাকে।
এরপর আমি জান্নাতকে তুলল বুকে জড়িয়ে নিয়ে কপালে একটা চুমু একে দিলাম।
ভাবিঃবাহহ খুব ভালো রোমান্স হচ্ছে দেখি।
হঠাৎ ভাবির আওয়াজ শুনে ভয় পেয়ে দুজন চুপচাপ দাড়িয়ে রইলাম।
ভাবিঃকি এখন কোনো কথা নাই অবশ্য ভালোই হবে দুবোন এক সাথে থাকবো।
এটা শোনার পর জান্নাত লজ্জা পেয়ে চলে গেলো আমিও ফ্রেশ হয়ে নিচে খাবার টেবিল এ বসলাম।
আব্বুঃসোহান খেয়ে রেডি হও।
আমিঃকেনো আব্বু।
আব্বুঃতোমার দাদু বাড়ি যাবো।
আমিঃঠিক আছে। খেয়ে রুমে এসে গেন্জীটা খুলেছি মাত্র জান্নাত কোথা থেকে এসে আমায় ঝাপটে ধরলো।
আমিঃকি করছো ছাড়ো।
জান্নাতঃকেনো সারবো আমার বরের হা আমিই ধরবো।
আমিঃহুমম এবার কাপর গোছাতে দাও।
সাথে ও কাপড় গুছিযে দিলো।
এরপর রেডি হয়ে বাইরে আসলাম দুই ভাই আর ওদিকে ওরা দু বোনও রেডি হয়প আসলো আমরা দু ভাই ওদের দিকে তাকিয়ে আছি হা হয়ে।
জান্নাত কালো রং এর একটা শাড়ি পড়েছে।ঠোঠে হালকা লিপস্টিক নিয়েছে দারুন লাগছিলো।
এরপর আমরা সবাই রওনা দিলাম।পুরো রাস্তা জান্নাত আমার কাধে মাথা রেখে ঘুম পেরেছি।
সন্ধ্যর দিকে পৌছালাম দেখলাম সবাই অনেক খুশি।
সবার সাথে একটু কথা বলে ভিতরে গেলাম জানৃনাত কে এটা জানতে চেয়েছিলো ভাবি বলে দিয়েছে।
আমি ড্রেস চেন্জ করার জন্য রুমে ঢুকে দরজা আটকাবো তখনি জান্নাত চলে আসলো।
আমিঃকি হলো যাও আমি একটু পর আসছি তো।
জান্নাতঃনা আমি তোমার সাথে যাবো।
আমিঃআমি তো ড্রেস চেন্জ করবো।
জান্নাতঃতো করো।
আমিঃফাজিল বের হও।
জান্নাতঃহিহিহি ঠিক আছে।
আমি একটু পর ড্রেস চেন্জ করে গেলাম সবাই অনেক মজা করলাম একটু পর আমি আর জান্নাত এমনি ফোনের কথা বলে বাইরে চলে আসলাম বাইরে কয়েকটা ফুলের গাছ লাগানো তার মধ্যে একটা আছে শিউলি ফুলের অনেক সুন্দর গন্ধ আসছিলো পাশেই ছিলো পুকুর।
দুজন গিয়ে পুকুর এর পাড়ে বসলাম ফুলের গন্ধটাও এখনো পাচ্ছি। ও আমার বুকে মাথা রেখে আছে চাঁদের আলো এসে পড়েছে পুকুরে খুব সুন্দর লাগছিলো চারিদিকে জোনাকির আলো চাদের আলোটা আরো পুকুরে পদ্ন ফুল যেনল অপরুপ সৌন্দর্য তার মাঝে একটি মেয়ে আমার বুকে জড়িয়ে আছে।
অনেক্ষন থাকার পর রুমে চলে গেলাম দুজন যাওয়ার সময় ও বায়না ধরলো কোলে করে নিয়ে যেতে হবে তো আমিও কোলে করেই নিয়ে গেলাম।
বাসায় গিয়ে আমি আমার রুমে গিয়ে কিছুক্ষন জেগে থেকল ঘুমিয়ে পড়লাম।
সকালের মিষ্টি রোদের আলো যখন আমার চোখের উপর এসে পড়লো তখন আমার ঘুম ভেঙ্গে গেলো।উঠে বেলকুনিতে এসে অবাক জান্নাত আমার মামাতো ভাইয়ের সাথে হেসে হেসে কথা বলছে দেখে আমার খুব রাগ হলো।রুমে এসে দরজা লক করে আবার ঘুমিয়ে পড়লাম উঠলা দুপুরে,,,,,,,,,,
,,,,,,,,,,
চলব,,,,,,,,,,
মতামত দিয়ে যান
0 Comments