ভাবির থেকে নাম্বার নিয়ে এসে ফোন দিলাম জান্নাতকে।আমার ফোন দিতে দেরী হলো কিন্তু জান্নাতের আমার ফোন ধরতে দেরী হলো না।
জান্নাতঃকুত্তা এতো দেরী হয় কেনো ফোন দিতে।
আমি ওকে রাগান্বিত হতে দেখে অবাক।
আমিঃওই ওই এতো রাগছেন কেনো??
জান্নাতঃতো রাগবোনা কি করবো এতো দেরী হলো কেনো ফোন দিতে আমি বাসায় এসেই ফোন হাতে নিয়ে বসে আছি আর ওনার ফোন দেওয়ার নামই নেই।
আমিঃকেনো অপেক্ষা করছিলেন??
জান্নাতঃএমনি আপনাকে শায়েস্তা করতে হবে তাই।
আমিঃওওও।
জান্নাতঃজ্বি খেয়েছেন??
আমিঃহ্যাঁ আপনি।
জান্নাতঃহ্যাঁ।
আরো কিছুক্ষন কথা বলে রেখে দিলাম যদিও এখন খুব ভালো লাগছিলো ওর সাথে কথা বলে।ভাবলাম তবে কি ওকে ভালোবেসে ফেললাম।না না এটা হবে কেনো ধ্যাত কি উল্টা পাল্টা ভাবা শুরু করে দিয়েছি।
আবার ফোনটা বেজে উঠলো।
তাকিয়ে দেখি জান্নাতের ফোন।
আমিঃআবার কি হলো??
জান্নাতঃবিকেলে,,,,,,,,,, এই জায়গায় চলে আসবা।
আমিঃযদি না যাই।
জান্নাতঃগিয়ে তুলে নিয়ে আসবো।
আমিঃহুমম হুমম যাবো যাবো।
ফোন কেটে দিলো তাই বলে আর আমি বলতে লাগলাম কি সাংঘাতিক মেয়েরে বাবা।
না আর ভালো লাগছেনা ঘুমিয়ে পড়ি বিকেলে আবার ওই ফাজিলের কাছে যাওয়া লাগবে এতোদিন মারতে উঠে পড়ে লেগেছিলো আর এখন আদর দেখাচ্ছে আমার ইজ্জতের ফালুদা পর্যন্ত করেছে অবশ্যও আমি কম করিনি।
বিছানায় শুয়ে ফোন টিপতে টিপতে ঘুমিয়ে গেলাম।
বিকেলে ফোনেও আওয়াজে ঘুম ভেঙ্গে গেলো উঠি তাকিয়ে দেখি ৬ টা মিসড কল ১২ টা এসএমএস।
আমি উঠেই ফোন দিতেই ঝাড়ি শুনতে হলো। তো কোনো মতে থামলো আমি তাড়াতাড়ি করে রেডি হলাম একটা গেন্জি পড়লাম এরপর আম্মুকে বললাম বাইরে যাবো তাই বলে বেড়িয়ে পরলাম। রিকশা নিয়ে ওর বলা জায়গা মতো চলে গেলাম নামতেই রিকশা ভারাটা ওই দিলো যদিও আমি দিতে চেয়েছিলাম দিতে দেই নাই।
নেমে দেখি জান্নাত সুন্দর করে সেজে এসেছে অসম্ভব সুন্দরী লাগছিলো ওকে আমি এক পলকে চেয়ে আছি ওর দিকে।
জান্নাতঃকি দেখছো ওমন করে

আমিঃনা না কিছু না।
জান্নাতঃএতোক্ষন লাগে আসতে??
আমিঃকিছুক্ষনই তো হলো।
জান্নাতঃএতো তাড়াহুরা করেছো যে গেন্জিটাও উল্টা করে পড়ে এসেছো।
আমিঃদেখেছেন সব আপনার দোষ।
জান্নাতঃওই আবার আপনি আমার গেন্জী ধরে



আমিঃঠিক আছে তুমি।
জান্নাতঃএই তো গুড বয়।
আমিঃআমি এখন গেন্জী ঠিক করবো কোথায়।
জান্নাতঃএখানে তো তেমন কিছু নেই ওই যে গাছের আড়ালে চলো।
এরপর আমি আর জান্নাত গাছের আড়ালে চলে গেলাম।
আমিঃকি হলো তুমি ওদিকে যাও।
জান্নাতঃকেনো??
আমিঃতুমি আমার খালি গা দেখে ফেলবে তাই।
জান্নাতঃবাহ রে এরপর থেকে তোমার সব তো আমার।
আমিঃমানে??
জান্নাতঃওসব মানে টানে বাদ দাও ঠিক করো তাড়াতাড়ি।
আমিঃপ্লিজ ওদিকে মুখ দাও।
জান্নাতঃহিহিহি ঠিক আছে।
এরপর গেন্জী ঠিক করে বের হলাম।
জান্নাতঃওই দোকান থেকে আইসক্রিম নিয়ে আসো আর এই নাও টাকা।
আমিঃলাগবে না।
জান্নাতঃনিতে বলছি তো নাকি
।

আমি টাকাটা নিয়ে দুটো আইসক্রিম কিনে নিয়ে আসলাম।
আমিঃএই নাও।
জান্নাতঃদুটো কার জন্য??
আমিঃতোমার জন্য।
জান্নাতঃমাইর চিনো যাও একটা ফেরত দিয়ে আসো।না না লাগবেনা ওটা তুমি খাও।
দুজন আইসক্রিম খেতে লাগলাম ইচ্ছে করেই জান্নাত ওর টাতে বাচ্চাদের মতো ঠোঠ লাগিয়ে খাচ্ছিলো আমিও খাচ্ছিলাম কিন্তু ওর মতো করে না।
দুজন নদীর পার দিয়ে হাঠতাছি খুব সুন্দর লাগছে।
হঠাৎ জান্নাত আমার আইসক্রিম কেরে নিয়ে পরটা আমাকে দিয়ে দিলো।
আমিঃএটা কি হলো??
জান্নাতঃএটাই ঠিক হলো আর ওটাই খাও না হলে এখনি চিৎকার করে বলবো তুমি ইভটিজিং করতাছো।
আমিঃনা না খাচ্ছি।
আমি তো মনে মবে ভাবছি কোথায় এনে ফেললে আমায়।
কিছুদূর যাওয়ার পর একটা বসার যায়গায় বসলাম দুজন ও আমার কাধে মাথা রাখলো।
আমিঃএটা কি হচ্ছে।
জান্নতাঃচুপচাপ থাকো না হলে কিন্তু।
আমিঃঠিক আছে।
হঠাৎ একটা পিচ্চি মেয়ে কিছু ফুল নিয়ে আমার কাছে আসলো।
মেয়েটাঃভাইয়া নিননা ফুল গুলো ভাবির খুব পছদ হবে।
মেয়েটা যখন ভাবি বললো তখন তাকিয়ে দেখলাম জান্নাত লজ্জায় লাল হয়ে আছে।
জান্নাতঃপ্লিজ নিয়ে দাও।
আমিঃঠিক আছে দাও আর এই নাও টাকা।
জান্নাতঃওই মেয়ে শোনো খবরদার ওর থেকে টাকা নেবে না এই নাও তুমি।
জান্নাত টাকা দিলো মেয়েটা চলে গেলো আমায় দিতে দিলো না।
জান্নাতঃওই সোহান প্লিজ আমার খোপায় কয়েকটা লাগিয়ে দাও।
আমিও ওর মায়া ভরা কথা ফেলতে পারলাম না ওর খোপায় দিয়ে দিলাম ও অনেক খুশি হলো।
দুজন নদীর দিকে তাকিয়ে আছি নৌকা যাচ্ছে মাঝি তা বয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
জান্নাতঃমনে হয় কি জানো আমার মনের নদীতে তুমি মাঝি হয়ে নৌকা চালাচ্ছো।নদীর ঢেউ জেনো আমায় বলে দেয় তুমি আমার।
নদীর তীরে বসে সূর্য ডোবা দেখলাম খুব সুন্দর লাগছিলো গোধূলী লগ্ন যখন শুরু হলো পশ্চিম আকাশ রক্তের লাল বর্ণ ধারন করলো নদীটা জেনো অপরূপ সৌন্দর্যে সজ্জিত হলো সত্যি অনেক সুন্দর লাগছিলো তখন।
এরপর দুজন বাসায় আসার জন্য রওনা হলাম ও আমায় ছাড়তে কেমন জানি কষ্ট অনুভব করছিলো রিক্সার ভাড়াটা ওই দিলো।
বাসায় এসে পৌছানোর সাথে সাথে জান্নাত ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করলল পৌছেছি কিনা আমিও হ্যাঁ বলে দিলাম।রাতে পড়তে বসলাম তাকিয়ে দেখলাম ফোনে চার্জ নেই বন্ধ হয়ে আছে চার্জে লাগালাম কিন্তু চার্জাের সুচই দিতোই ভুলে গেলাম। নিচে গিয়ে এসে ঘুমিয়ে পড়লাম।
আজও সকালে ঘুম ভাঙ্গলো দেড়ীতে হালকা চোখ খুলে তাকিয়ে দেখি,,,,,,,,,,,,,,,,



বাকিটুকু কাল বলবো কেমন,,,,,,,
চলবে,,,,,,,,,,
0 Comments