#ভাইয়ার_ডেন্জারাস_শালী_যখন_বউ(part...4)

সকালে উঠতে আমার দেড়ি হলো মাত্র হালকা চোখ খুলেছি তাকিয়ে দেখি জান্নাত আমার রুমে চুপি চুপি ঢুকছে।আমি আবার চোখ বুঝলাম যে দেখি কি করে ও।

তো ও এসে বিছানায় উঠে বালিস নিলো আর আমার মুখের উপর চেপে ধরলো আমি তখনি মুখ হালকা বাকা করে নিলাম এতে নিশ্বাস নিতে পারছিলাম।

আমি একটা বুদ্ধি বের করলাম যে আমায় শায়েস্তা করতে এসেছিলো উল্টে নিজেই শায়েস্তা হবে তাই বলে আমি হাত পা নাড়াতে লাগলাম আর এমন ভাব দেখালাম যেনো সত্যি সত্যি আমার নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। একটু পর নড়া চড়া বন্ধ করে দিলাম।

ও প্রথমে একটু খুশি হলো পড়ে যখন দেখলো আমি নড়ছিনা তখন ভয় পেয়ে গেলো।তাড়াতাড়ি করে বালিশ টান দেয়ে ফেলে দিলো আমিও তখন নিশ্বাস আটকে রাখলাম ও আমার নাকের কাছে আঙ্গুল দিয়ে দেখলো আমার নিশ্বাস চলছেনা তখন ও আরো ভয় পেয়ে গেলো চোখের কোনো চিক চিক করছে আমি হালকা করে চোখ খুলে বুঝতে পারলাম চোখে পানি টলমল করছিলো উপায় না পেয়ে কেদেই দিলো আমি তা দেখে উঠে হাসতে লাগলাম আর ও অবাক হয়ে গিয়েছে।

আমায় ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে আমার বুকের উপর চড়ে বসে বুকে কিল দিতে লাগলো আর শয়তান কুত্তা বান্দর এগুলা বলতে লাগলো।একটু পর বুঝতে পারলো ও আমার খুব কাছাকাছি চলে এসেছে আমিও বুঝতে পারলাম তা ও লজ্জায় লাল হয়ে উঠে দৌড়ে চলে গেলো।

আমিও উঠে বসলাম আর একটু আগের ঘটনার কথা ভাবতে লাগলাম ভাবতেই কেমন জানি হতে লাগলো।

আমি উঠে ফ্রেশ হয়ে নিচে গেলাম দেখলাম সবাই খেয়েছে আমি। আমি গিয়ে খাবার টেবিলে বসলাম আম্মুকে ডাক দিয়ে বললাম খাবার দিতে সে রাজি হলোনা বললো আগে নাকি ওঠা উচিত ছিলো আমার।আমি অনেক বললাম শুনলোই না বললো আমায় নাকি বেড়ে খেতে হবে।আমি একটু ঘুরে তাকিয়ে দেখি টেবিলে খাবার আমি তো অবাক তাকিয়ে দেখি জান্নাত খাবার গুলো নিয়ে এসেছে আর বেরে দিচ্ছে।আমি ভাবলাম হয়তো নতুন কোনো ফন্দি এটেছে কিন্তু না দেখলাম ভালোই ব্যাবহার করছে।

আমার ওর এরকম পরিবর্তন খুব ভালোই লাগছিল।

আমি খেয়ে নিলাম ও ওখানেই ছিলো আমার কি লাগবে কি না লাগবে সব খেয়াল রাখছিলো বুঝতে পারলাম না কেনো এমন করছে আবার

(আপনারা বুঝতে পারলে একটু জানিয়ে দিবেন)

খেয়ে আমার এক বন্ধুর ফোন এলো আমি চলে গেলাম ওর সাথে একটু ঘোরাঘুরি করে ভাবি ফোন দিলেন আজকেও নাকি ঘুরবে কিন্তু মনে হলো কেউ জেনো শিখিয়ে দিলো এটা যে তাড়াতাড়ি আসতে বল।

আমি রবিকে বললাম আমায় বাসায় যেতে হবে তাই বলে বাসায় চলে আসলাম এসে দেখি সবাই রেডি আজও জান্নাত সুন্দর করো সেজে আমার সামনে ঘুর ঘুর করছে আর আমায় দেখিয়ে বেড়াচ্ছে আমি তা দেখেও না দেখার ভান করছি।

একটু পর আমি ভাবি, ভাইয়া আর জান্নাত বের হলাম। আজ আর অন্য রাস্তায় ঢুকলাম না কিন্তু জান্নাত আমার হাত ধরে ধীরে ধীরে হাটতে লাগলো যাতে ভাইয়া ভাবি না দেখতে পায় আমাদের আর বলতে লাগলো এটা কি ওটা কি আমি ওগুলার নাম বলতে লাগলাম আর মাঝে মাঝে আর চোখে তাকিয়ে দেখলাম জান্নাত আমার দিকে এক ভাবে চেয়ে আছে।আমি তবুও কিছু বললাম না।

এরপর ভাইয়া ডাক দিলে আমি আর ও তাড়াতাড়ি হাটতে লাগলাম এখন জান্নাত আমার হাত ছেড়ে দিয়েছে হয়তো ভাইয়া আর ভাবওর জন্য কিন্তু যখন ভাইয়া আর ভাবি সামনে তাকিয়ে গল্প করছে তখনি আবার ধরছে।

সন্ধ্যার সময় বাসায় আসলাম ফ্রেশ হয়ে বসলাম আজ নাকি আনন্দ হবে তো সবাই গোল হয়ে বসলো আমার পাশেই জান্নাত বসলো যদিও কেউ কিছু মনে করেনি।তো সবাই ভালোই মজা করছিলাম আমায় প্রশ্ন করলো ভাবি আমার জি এফ আছে নাকি।আমি তখন উত্তর দিলাম নেই এটা বলার সাথে সাথে জান্নাত খুশিতে চিল্লায় উঠল ভাবি জানতে চাইলে অন্য কিছু বলে পারে করে দিলো।

হঠাৎ রবির ফোন এলো আমি উঠে ছাদে চলে এলাম এসে কথা বলছি।কথা শেষ হওয়ার পর দেখি জান্নাত আমার পিছনে দাড়িয়ে।

আমিঃকি ব্যাপার কি হয়েছে।

জান্নাতঃকার সাথে কথাবলছেন??

আমিঃকেনো আমার বন্ধুর সাথে।

জান্নাতঃফোনটা দিন।

তাই বলে দেখলো আসলেই আমি আমার বন্ধুর সাথে কথা বলছিলাম ফোনটা আমায় দিয়ে দিলো।

জান্নাতঃভুলেও মেয়েদের সাথে কথা বললে আপনার এমন হাল করবো ভাবতেও পারবেন না।

আমি শুধু দাড়িয়ে আছি আবালের মতো।আমি সব ভুলে আবার নিচে গেলাম ততোক্ষণে সবাই উঠে গেছে খাওয়ার জন্য তো সবাইকে বসতে বলা হলো আমার পাশে জান্নাত এসে বসলো।

খাওয়ার মাঝে মাঝে জান্নাত আমার পায়ে সুরসুরি দিচ্ছিলো আমিও ঠিক বুঝতে পারলাম কিন্তু কিছু বললাম না।

চুপচাপ খেয়ে দেয়ে রুমে এসেই শুয়ে দিলাম একটা ঘুম।

সকালে ঘুম ঘুম চোখে তাকিয়ে দেখি কে যেনো রুম থেকে দৌড়ে পালালো।

আমি ঠিক মতো বুঝতে পারলাম না কে ছিলো কিন্তু নুপুরের আওয়াজ হলো তাই বুঝলাম ওটা একটা মেয়েই ছিলো।

আমি প্রতিদিনের মতো উঠে ফ্রেশ হই আজও তাই করে একটু ছাদে চলে গেলাম।একটু পর জান্নাত পিছন থেকে ডাক দিলো আমি ঘুরে তাকিয়ে দেখলাম ও সেজে আছে।

আমিঃকোথাও ঘুরতে যাবেন??

জান্নাতঃনা আমি আজ চলে যাবো।

কথাটা শোনা মাত্রই আমার মন খারাপ হয়ে গেলো আর ওর তো আগে থেকেই মন খারাপ।

আমিঃঠিক আছে সাবধানে যাবেন।

জান্নাতঃহুম।

কিছুক্ষন দুজন চুপচাপ দাড়িয়েই রইলাম। একটু পর জান্নাতই বললো,,,,

জান্নাতঃআর কিছু বলবেন??

আমিঃনা আর কিছু বলবো না।

জান্নাতঃঠিক আছে চলে গেলাম ভালো থাকবেন।

আমিঃহুম।

তাই বলে জান্নাত চলে গেলো আর আমি ওর চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছি হয়তো ও চাচ্ছিলো আমি ওকে বলি যাবেন না ওর চলে যাওয়া দেখে মনে হচ্ছিলো কাছের কেউ চলে যাচ্ছে আমার কাছ থেকে এর উত্তরকি আমি জানিনা তবে কি তাকে ভালোবেসে ফেললাম??না এটা সম্ভব না ও হয়তো আমায় এ নজরে দেখে না।

আমার ভালো লাগছিলোনা তাই রুমে চলে গেলাম গিয়ে শুয়ে আছি একটু ঘুমানোর চেষ্টা করলাম পারলাম না।না খেয়ে দুপুর হয়ে গেলো আম্মু খেতে বলেছিলো খাইনাই।জান্নাতের কথা খুব মনে পড়ছে পারছি না থাকতে।

আমি উপায় না পেয়ে দৌড়ে ভাবির কাছে চলে গেলাম দেখলাম উনি একাই আছে।

ভাবিঃকিছু বলবে??

আমিঃভাবি একটা কথা বলবো কাউকে বলবানা প্লিজ।

ভাবিঃঠিক আছে বলো।

আমিঃভাবি তোমার বোনের নাম্বার দাও আমি থাকতে পারছিনা আর।

ভাবিঃকি ভালোবেসে ফেললে নাকি আমার বোনটাকে।

আমিঃজানিনা তুমি প্লিজ নাম্বার দাও।

ভাবিঃওর নাম্বার ছিলো না ও যাওয়ার আগে দিয়ে গেছে।

ভাবির থেকে নাম্বারটা নিয়ে অনেক খুশি হলাম নিজের রুমে আবার চলে এসে ফোন দিতে দেরী হলো তো আর ও পাশ থেকে ধরতে দেড়ী হলো না,,,,,,,,,,,,,,,,,,

বাকিটুকু কাল বলবো কেমন,,,,,,,,,,,,,

চলবে,,,,,,,,,,

খারাপ লাগলে বলবেন৷৷

ভুল ত্রুটি মার্জনীয়৷৷

বাকিটুকু রাতে বলবো কেমন,,,,,,,,

চলবে,,,,,,,,

Next পর্ব আমি এমনিই দিব,,,তাই next কমেন্ট না করে অন্য কিছু কমেন্ট করুন

ধন্যবাদ

22