Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

#ভাইয়ার_ডেন্জারাস_শালী_যখন_বউ( part..3)

 

❤
Image may contain: 1 person, closeup
#মজার ভালোবাসার গল্প
( part..3)
এসে বিছানায় গা এলিয়ে দিতেই ঘুম।
খুব সকালে ঘুম থেকে উঠলাম।উঠে সোজা নিচে চলে গেলাম দেখলাম সবাই আছে আমায় দেখে সবাই হাসতে লাগলো বুঝলাম না ব্যপাারটা।
আমিঃহাসছো কেনো??
আম্মুঃসত্যিই তুই পাগল হয়ে গিয়েছিস।
আমিঃকেনো আমি কি করলাম।
আম্মুঃমেয়েদের মতো সেজেছিস কেনো??
আমিঃমেয়েদের মতো সাজতে লাগবো আমি কোন দুঃখে??
আম্মুঃআায়নায় গিয়ে দেখ।
আম্মুর কথায় আমি আয়নার সামনে গিয়ে নিজেকে দেখে ভুত দেখার মতো চমকে উঠলাম।কেনোনা চমার ঠোঠে লিপস্টিক দেওয়া চোখে কাজল দেওয়া কপালে টিপ দেওয়া।
এটা দেখে রাগে শরীর জ্বলতে লাগলো ওই শয়তানি মেয়েটার দিকে তাকিয়ে দেখলাম হাসছে খুব সুন্দর লাগছিলো ওর হাসিটা ইচ্ছে হচ্ছিলো মন ভরে দেখি।আম্মুর কথায় হুশ ফিরলো।
আমি আমার রুমে এসে ওয়াশরুম থেকে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে বের হলাম খুব রাগ হচ্ছিলো আবার নতুন প্লান করলাম যে ওকে আবার শায়েস্তা করবো আজ।
নিচে গেলাম খেতে।
আমিঃভাইয়া ভাবি আজ চলো বেড়িয়ে আসি ভাবি তো নতুন তাই চিনে নেবে সব।
ভাবিঃখুব ভালো হবে।
জান্নাতঃআমিও যাবো।
আমি মনে মনে ভাবলাম এই তো ঘুঘু ফাদে পা দিয়েছে।
আমিঃআপনার যাওয়ার দরকার কি।
জান্নাতঃআন্টি আমি যাবোই।
আম্মুঃনিয়ে যা বলছি।
আমিঃঠিক আছে বিকেলে যাবো সবাই একটু ভাব নিলাম যেনো ওর যাওয়ায় আমি খুশি না।
খেয়ে নিজের রুমে চলে এসে শুয়ে ফেসবুকে ঢুকলাম। মেয়ে ফ্রেন্ড এর অভাব নেই অনেকের সাথেই কথা হয় সবার বি এফ আছে ভাবতেই টাসকি খাই এখন সবাই বলে সরি আমি সিংগেল না বি এফ আছে কিন্তু বিয়ের জন্য গেলে বলে আমি সিংগেল তাহলে কোনটা ঠিক যদিও সব মেয়ে এক না।
ফেসবুকে ঘুরতে ঘুরতে বিকেল হয়ে গেলো। ভাইয়া ভাবি ডাকলো আমি একটা নীল পান্জাবী পড়লাম গায়ে আমার ফেবারিট পারফিউম দিলাম আর চোখে একটা চশমা পড়লাম যদিও এটা সান গ্লাস না আয়নায় তাকিয়ে দেখলাম না ভালোই লাগছে।এরপর নিচে যেতেই তাকিয়ে দেখি জান্নাতও অনেক সুন্দর করে সেজেছে আমি ওর দিকে আর ও আমার দিকে হা হয়ে তাকিয়ে আছি দুজন।
জান্নাতঃ(ইশশ ওকে আজ খুব সুব্দর লাগছে।)
আমিঃ(জান্নাত এতো সুন্দর করে সাজতে পারে)
ভাইয়াঃতোদের হলো নাকি যাবি।
ভাইয়ার কথায় আমি বললাম হ্যাঁ।
এরপর বেরিয়ে পড়লাম আমি একপাশে আর অন্যপাশে জান্নাত আর ভাইয়া ভাবি মাঝখানে।গল্প করছিলম হঠাৎ জান্নাতকে ডাক দিয়ে আমরা দুজন পিছনে আসলাম।
আমিঃযেহেতু নতুন তাই তাদের একা ছাড়া উচিত কি বলেন??
জান্নাতঃহ্যাঁ ঠিকি বলেছেন।
তাই বলে আমি আর জান্নাত ধীরে ধীরে পিছন থেকে অন্য রাস্তায় চলে গেলাম।
এরপর দুজন গেলাম কাছাকাছি হয়ে হাটছিলাম কিন্তু তবুও দূরত্ব ছিলো।নদী দিয়ে ঘুরলাম কিন্তু একটু সন্ধ্যা হয়ে গেলো আর আমি এটারি অপেক্ষা করছিলাম আমার সাথে ফাজলামি আজ দেখবো কি পারো।
জান্নাতঃইশশরে সন্ধ্যা লেগে গিয়েছে তাড়াতাড়ি চলুন।
আমিঃহ্যাঁ।
তাই বলে চলতে চলতে আমি অন্যএকটা রাস্তায় ঢুকলাম ওইদিকটায় একটু জঙ্গল কিন্তু কাছে হয়।
জান্নাতঃআমাদের যাওয়ার রাস্তা তো পিছনে তো এইটায় এলেন কেনো।
আমিঃওদিক দিয়ে অনেক রত হয়ে যাবে এটা শর্টকার্ট।
জান্নাতঃকিন্তু এই রাস্তাটা কেমন ভয় ভয় করতাছে।
আমিঃসমস্যা নেই।
চারিদিকে শুধু মেহেগনি গাছে অন্ধকারে তেমন দেখা যাচ্ছেনা জান্নাত এখন আমার অনেকটা কাছে এসেছে ওর হাতের স্পর্শ পাচ্ছি।ওর মুখ দেখে বুঝতে পারছি।
আমি থেমে গেলাম।
জান্নাতঃকি হলো??
আমিঃমনে হয় ভুল রাস্তায় চলে এসেছি এটা কেমন অচেনা।
জান্নাত এ কথা শুনে আরো ভয় পেয়ে গেলো ওর মুখ শুখিয়ে গিয়েছে।
জান্নাতঃআপনার কথা শোনাই ভুল ছিলো আমার।
আমিঃফোনও বন্ধ হয়ে গেছে।
জান্নাতঃআমারটাও নিয়ে আসিনি।
হাঠতে হাঠতে জান্নাত একটু সামনে তাকাতেই আমি সুযোগটা কাজে লাগিয়ে একটা মোটা মেহেগনি গাছের আড়ালে লুকিয়ে পড়লাম।ও আনমনে হাঠছে।গাড় ঘুড়িয়ে আমায় দেখতে না পেয়ে চিৎকার করে অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেলো।
আমি গাছের আড়াল থেকে বের হয়ে ওর কাছে গিয়ে ওকে কয়েকটা ডাক দিতে ও উঠে আমায় ঝাপটে ধরে কান্না করতে লাগলো।
প্রথম কেউ আমায় জড়িয়ে ধরলো ইচ্ছা হচ্ছিলো ওকেও জড়িয়ে ধরে কিন্তু পরেই চিন্তা করলাম ওকে তো শায়েস্তা করতে হবে।
আমি খিলখিল করে হাসতে লাগলাম ও বুঝতে পারলো আমি শয়তানি করছি আমায় ছেড়ে দিয়ে রাগে ফুসতে ফুসতে চলে যেতে লাগলো আমি পিছন থেকে হাসতে হাসতে গেলাম।
বাসায় যেতেই আম্মুর কিছু বকুনি খেলাম কিছু বলে পার পেলাম।
আমি একা কিছু খেয়ে নিজের রুমে গিয়ে পড়তে বসলাম।
অনেক পড়লাম পড়তে পড়তে কখন ঘুমিয়ে গিয়েছি জানিনা।দেড়িতে ঘুম ভাঙ্গলো সকালে মাত্র চোখ খুলেছি দেখলাম জান্নাত আমার রুমে ঢুকলো আমি চোখ বুজলাম ঘুমানোর নাটক করলাম।ও এসে আগে দেখলো আমি ঘুমিয়ে কিনা তারপর আমার পাশে বসে একটা বালিশ নিয়ে আমার মুখে চেপে ধরলো,,,,,,,,,,,,,,,,
বাকিটুকু রাতে বলবো কেমন,,,,,,,,,
চলবে,,,,,,,,,,

1

Post a Comment

0 Comments