#মজার ভালোবাসার গল্প
লুঙ্গি পড়ে পুকুরে গেলাম।দেখলা আশেপাশে কেউ নেই আবার লুঙ্গিও আরেকটা নেই যে এটা পড়ে গোসল করবো।কাউকে না দেখতে পেয়ে এই লুঙ্গি খুলে পুকুরে নেমে পড়লাম।
এক ডুব দিয়ে উঠে ঘুরে দেখি ওই ফাজিল মাইয়াটা মুচকি হাসতাছে।ব্যাপারটা বুঝতে পারলাম না চোখ ভালো করে মুছে তাকিয়ে দেখি ওর হাতে লুঙ্গি তখন আমার চোখ ছানাবরা হয়ে গেলো বুঝতে পারলাম ওরকম করছি তাই বাশ দিচ্ছে।
মেয়েটাঃকি মিষ্টার এখন কি হবে।
আমিঃপ্লিজ লুঙ্গিটা রেখে যান না হলে আমায় সারাদিন এখানে থাকতে হবে।
মেয়েটাঃজ্বি না আমার সাথে যা করেছেন আর আমি এতো সহজে ভুলে গিয়ে ছেড়ে দিবো তা কখনো এই জান্নাত হতে দিবে না।
বুঝতে পারলাম মেয়েটার নাম জান্নাত।
আমিঃপ্লিজজজ।
মেয়েটাঃনা হবেনা।
আমি তখন কষ্টে একটা গান শুরু করে দিলাম।
"মাইয়া রে মাইয়া রে তুই লুঙ্গি চোর রে
আমার যতন করা লুঙ্গিটারে দে ফিরাই দে
আমার লুঙ্গিটারে চুরি করার অধিকার দিলো কে
মাইয়া তুই বড় লুঙ্গি চোর তোর ক্ষমা নাই রে"
এটা শুনে জান্নাত রেগে চলে গেলো।আর আমি পানির মধ্যে উঠতে পারছি না।আম্মুকে ডাকলাম কিন্তু কাউকে পেলাম না।
কি করবো ভেবে পাচ্ছিলাম না।কিছু সময় বসে রইলাম কাউকে খুজেও পাচ্ছিলাম না। একটু আশে পাশে আবার তাকালাম হঠাৎ দেখতে পেলাম একটা দড়ির উপর একটা শাড়ি মনে হয় শুকাতে দিয়েছে।আমি মনে মনে ভাবলাম শেষ পর্যন্ত ইজ্জতটাও যাবে।
কিন্তু এখানে বসে থাকলে কেউ আসবে না তা কিছুক্ষন থেকেই বুঝেছি।উপায় না পেয়ে শাড়িই লুঙ্গির মতো করে পেচিয়ে পড়লাম।তারপর চুপি চুপি বাড়ির পেছনের দরজা দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলাম কিন্তু ভাবিনি কপালটা আমার বিপক্ষে কেননা আম্মু,ভাবি,ওই ফাজিল,ভাইয়া আর ভাইয়ার শাশুড়ি সব পেছনের দরজার কাছেই আছে।
আমি ঢুকেই পিছনে ঘুরতেই আমি ৪০০০ ভোল্টেজের শখ খেলাম কেনোনা সবাই আমার দিকে তাকিয়ে হা হয়ে আছে।
আম্মুঃকিরে সোহান তুই কি পাগল হয়ে গিয়েছিস শাড়ি পড়েছিস কেনো।
তাই বলে সবাই হাসতে লাগলো আর সবচেয়ে বেশি হাসলো ওই শয়তানিটা আমার রাগে শরীর জ্বলছিলো আর লজ্জাও পাচ্ছিলাম ইচ্ছা করছিলো এক চামচ পানির মধ্যে ডুবে মরি।
আমিঃআম্মু ওই ফাজিল মেয়ে আমার লুঙ্গি নিয়ে চলে আসছে আমি কি করবো।
জান্মাতঃআন্টি ও মিথ্যা বলছে আমি ওখানে যাই ই নাই।
আমিঃযান নি তাহলে আমার লুঙ্গি কই গেলো।
জান্মাতঃওয়েট আমি দেখে আসি।
তাই বলে জান্নাত বাইরে গিয়ে আবার আসলো হাতে লুঙ্গি।
আমি স্পষ্ট বুঝতে পারলাম লুকিয়ে রেখেছিলো আমাকে শায়েস্তা করতে আমি আর কিছু না বলে দৌড়ে রুমে চলে এসে প্যান্ট পড়ে নিলাম।
আর ভাবলাম এর সঠিক জবাব আমি দিবোই।একটা বুদ্ধি পেলাম জান্নাতকে শায়েস্তা করতে।
আমি আর ওতোটা নিচে যাইনি কারন আমার ইজ্জতের ফালুদা করে দিয়েছিলো অপেক্ষা করলাম জান্নাত ঘুমাবে কখন এরপর সেই সুযোগটা এলো কারন রাতে সবাই আনন্দ করেছে কেউ ঘুমাইনি ঠিক মতো কিন্তু ঘুমিয়েছি।
জান্নাত ঘুমানোর পর জান্নাতোর রুম কুজে চুপি চুপি রুমের ভেতরে গেলাম দেখলাম রুমটা সুন্দর করে সাজানো চারিদিকে জান্নাতের ছবি টানানো দেওয়ালের সাথে।আমি ওর পড়ার টেবিল থেকে একটা কলম নিয়ে ওর সব কালি বের করে হাতে মাখলাম তারপর জান্নাতের কাছে গিয়ে আমি টাস্কি খেয়ে গেলাম এই প্রথম কাউকে ঘুমন্ত অবস্থায় দেখলাম।ঘুমন্ত অবস্থায় একটা মেয়ে এতোটা সুন্দর হতে পারে জানতাম না কিছুক্ষন তাকিয়ে থাকলাম এরপর মনে এলো প্রতিশোধ নিতে হবে তাই হাত দিয়ে ওর সমস্ত মুখে কালি মাখিয়ে দিয়ে দুষ্টু হাসি দিয়ে বের হয়ে এলাম।বিকেলে যখন জান্নাত যখন উঠে নিচে এলো সবাই সে কি হাসি আমিও অনেল হাসলাম আর ও বুঝতে পেরে রেগে আগুন হয়ে আছে চোখ দিয়ে জেনো আগুন ঝড়ছে।
সব শেষ করে সন্ধ্যায় বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম সাথে শয়তানিটাও নাকি যাবে।
আমি আর জান্নাত এক গাড়িতে আব্বু আর আম্মু এক গাড়িতে আর ভাইয়া আর ভাবি আরেক গাড়িতে।আমার রাগ হচ্ছিলো শয়তানিটা না থাকলো কি সুন্দর একা যেতাম।কিছুক্ষন পর আমার কাধে কারো মাথা অনুভব করলাম তাকিয়ে দেখি জান্নাত ঘুমিয়ে পড়েছে চুল গুলো ওর মুখের উপর এসে পড়েছে ইচ্ছা হলো সড়িয়ে দিতে কিন্তু ভাবলাম যদি উঠে যায় তাই আর দিলাম না।
অবশেষে বাসায় পৌছে ওকে ডাক দিয়ে তুলে বাসায় প্রবেশ করলাম সবাই রাত হয়ে গিয়েছিলো আমি আমার রুমে গিয়ে চুপচাপ দিলাম একটা ঘুম।
সকালে ঘুম থেকে উঠে নিচে চলে যেতেই সবাই আমায় দেখে হাসতে শুরু করলো বুঝলাম না ব্যাপারটা,,,,,,,,,,,,,,,
বাকি টুকু কাল বলবো কেমন,,,,,,
চলবে,,,,,,,,,
সাড়া পেলে আজকে আরেক পার্ট দেবো
0 Comments