আমিঃযি না আমার চোখ একদম ঠিক আছে আপনার চোখ কানা মনে হয়।
মেয়েটাঃঠাশশ করে চড় মেরে দিবো যত্তোসব ফালতু ছেলে গায়ে পড়তে আসে।
আমিঃআমিও চুপ করে বসে থাকবো না ফালতু মেয়ে কোথাকার।
মেয়েঃআপনি আমায় ফালতু বললেন??



আমিঃহ্যাঁ বললাম আপনি ফালতুই।
মেয়েঃআপনি ফালতু আমি না।
আমিঃআজাইরা মেয়ে।
এই বলে চলে এলাম ওখান থেকে।আসলে বড় ভাইয়ার বিয়েতে এসেছি যদিও আসতে চেয়েছিলাম না আব্বু আম্মু জোড় করে নিয়ে এসেছে।মোবাইল চালাতে চালাতে হবু ভাবিকে দেখতে যাচ্ছিলাম হঠাৎ মেয়েটা এসে ধাক্কা খায় তারপরের টুকু তো শুনলেনই কি হলো।চারিদিকে অনেক লোকজন তারমধ্যে আমি একা হাঠতাছি আব্বু-আম্মু কাউকে খুজে পাচ্ছি না ভেবে পাচ্ছিনা কি করবো।আমি হবু ভাবিকে দেখতে একটা রুমের দিকে এগোতে লাগলাম।
ততোক্ষনে পরিচয়টা দিয়ে দিই আমি সোহান অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ি।বাবা মায়ের দুই মাত্র সন্তান বড় ভাই আর আব্বু ব্যাবসা সামলায় আর যেখানে এসেছি সেটা আমার বড় ভাইয়ের বিয়ে তা তো জানলেনই।যাক গল্পে ফেরা যাক।
আমি রুমে ঢুকে হালকা দরজা ভিরে ভিতরে উকি দিয়ে দেখি সবাই মেয়েরা বসে গল্প করছে তার মধ্যে আমার আম্মুও আছে আর সাথে ওই ফাজিল মেয়েটাও আছে।
আমাকে কেউ দেখার আগে আমি বার হয়ে আরেকটা রুমের দিকে এগোতে লাগলাম।কেমন জানি লাগছিলো দরজায় উকি দিচ্ছি।
ভাইয়ার শশুর আমাকে দেখে বললো বাবা কোনো সমস্যা।আমি তখন বললাম ভাবিকে দেখবো তখন তিনি রুম দেখিয়ে দিলেন।আমিও সেই রুমের মধ্যে চলে গেলাম দেখলাম ভাবি তৈরি হয়ে বসে আছে যদিও কিছু মেয়ে আছে কিন্তু সবাই আন্টির বয়সি তাই লজ্জা পেলাম না।
আমিঃভাবি কেমন আছেন।
আমার কথা শুনে ভাবি লজ্জা পেলো আর বাকিরা মুচকি হাসছিলো।
আমিঃভাবি লজ্জা পাওয়ার দরকার নাই আর যদিও এখনো ভাবি হননি আর কিছুক্ষনের মধ্যেই হয়ে যাবেন।তাইতো বলি ভাইয়া আমায় আপনার ছবি দেখতে দিলো না কেনো।ভাবি আপনি সুনৃদর বলেই দিতো না এখন বুঝলাম যখনি দেখতে চাইতাম তখনি ছবি লুকিয়ে রাখতো।কিন্তু এবার পারলো না।
সবাই এবার হেসে উঠলো।এক আন্টি বলে উঠলো ছেলের ভাইতো হেব্বি পাম মারতে পারে।
আমিও কম কি পাল্টা জবাব দিতে লাগলাম।
আমিঃকি বলেন আন্টি পাম দিবো কেনো সত্যিই বললাম অবশ্যই আপনারাও কম না মনেই হয়না আন্টি।
(আমায় পাম্পার বলছিলো নিজে রাই পাম খেয়ে ফুলতাছে দেখতাছি)
আমি আর তেমন কিছু না বলে বাইরে চলে আসলাম।বাইরে আসতেই আব্বু আমাকে তার ফোন ধরিয়ে দিয়ে বললো তোর আম্মুর কাছে দিয়ে দিতে।এবার পড়ে গেলাম চিপায় শেষ মেষ ওই মেয়েদের মধ্যেই যেতে হবে আমায়।ভাবলাম যাবো না কিন্তু সেই যেতেই হবে।
কি আর করার আব্বুর কড়া অর্ডার যেতেই হবে।ফোন নিয়ে ওই রুমে ঢুকে মাথা নিচু করে আম্মুর দিকে এগোতে লাগলাম খু লজ্জা পাচ্ছিলাম।আম্মুর কাছে গিয়ে ফোনটা দিয়ে বললাম আব্বু দিয়েছে।
মেয়েটাঃআন্টি এ কে??
আম্মুঃও আমার আরেক ছেলে।
মেয়েটাঃআন্টি এই ফাজিল পোলা আপনার ছেলে??
আম্মুঃশুধু ফাজিল না অনেক ফাজিল। বাসায় শুধু ফাজলামো করে।
আমি তো বুঝতে পারছি আম্মু আমার ইজ্জতের ফালুদা না করে চুপ করবে না কিসের জন্য যে আব্বুর সামনে পড়লাম।
মেয়েটাঃতাহলে তখন ঠিকি বলেছিলাম কানা।
এবার সহ্য হচ্ছিলো না তাই মুখ তুললাম।
আমিঃওই ফালতু আপনি কানি কারন নিজে থেকেই গায়ে পরে আবার এখন বড় বড় কথা বলে।
তাই বলে বের হয়ে চলে এলাম।
এদিকে মেয়েটা ভাবছে আমাকে অপমান করা এর যোগ্য শাস্তি আমি দিবো।
তো অবশেষে বিয়েটা সম্পূর্ণ হলো অনেক আনন্দ করলাম ভাইয়া ভাবির সাথে সবাই আজ এ বাড়িতেই থাকা। মাঝে মাঝে মেয়েটার দিকে চোখ পড়তেই দেকি কি জেনো ভাবছে আমি আর কিছু মনে করলাম না।
অবশেষে আসলো ঘুমানোর পালা। কোনো মতে এজটা জায়গায় পেয়ে গেলাম তারপর দিলাম একটা ঘুম।
খুব সকালো ঘুম থেকে উঠলাম আম্মু ডেকে তুললো।
উঠে বললাম গোসল দিবো আম্মু বললো সবাই তো তাই করতাছে তো তুই এখন কি করবি।
আমি বাড়ির পাশে পুকুর আছে ওখান থেকে করে আসি শুধু একটা লুঙ্গির ব্যবস্থা করে দাও।আম্মু গিয়ে একটা লুঙ্গির ব্যবস্থা করে নিয়ে আসলো।আমি পড়ে পুকুরের দিকে গেলাম আশে পাশে তাকিয়ে দেখলাম কেউ নেই তাই লুঙ্গি খুলে পুকুরে নেমে একটা ডুব দিয়ে উঠে দেখি ওই ফাজিল মেয়েটার হাতে আমার লুঙ্গি তখন তো আমি বুঝতে পারলাম বাশ খেতে হবে,,,,,,,,,,,,,
বাকি টুকু কাল বলবো কেমন,,,,,,,,
চলবে,,,,,,,,,,,,,,
0 Comments