Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

সেকেন্ড হ্যান্ড হাসবেন্ড """"২য় পর্ব"""" লেখক:-Safayet Rana



পাপ্পা পাপ্পা কাদতেছো কেন?মাম্মির কথা মনে পড়ছে তাই না?
আমি:- আরে না মিহির,কখন ঘুম থেকে উঠছো বাবা?
(মিহির আমার ছেলে,ওর চোখ গুলা মিষ্টির মতো,নাকটাও মিষ্টির,আর চেহারা মিষ্টি মতো হয়ছে,আজ ৫ বছর হয়ে গেলো আমার আর মিষ্টি কথা গুলা ভাবতেছিলাম,মিষ্টি মিহির কে জন্ম দেওয়ার সময় চলে গেলো,আমি এখনও বিয়ে করি নাই)
মিহির:- পাপ্পা তুমি আমার একটা কথা রাখবা?(জরিয়ে ধরে বলতেছে)
আমি:-হু বলো বাবা!
মিহির:- পাপ্পা আমার একটা মাম্মা লাগবে,তুমি এনে দাও প্লীজ পাপ্পা,,পাপা তুমি আবার বিয়ে করো!
আমি:-আব্বু তুমি যাও পড়তে বসো যাও,
মিহির:-(কাদতে কাদতে চলে গেলো)
(ছেলেটাকে কিভাবে বুজাই আমি তার মাম্মাকে কতো ভালবাসি এখনও,মিষ্টি স্থান আমি কাউকে দিতে পারবো না,মেয়েটা ছোট বেলায় কতো কষ্ট করছে কখনও কারও কাছে ভালবাসা পাইনি,যখন একটু সুখে ছোয়া পেল তখন বিধাতা আমার থেকে আমার মিষ্টি কে কেড়ে নিলো,মিষ্টি তুমি খুব সার্থপর এই পৃথিবীতে আমাকে একলা রেখে চলে গেলে,(চোখের জল বেরিয়ে গেলো)
শফিক চাচা:- বাবা আমার কথাটা ভেবে দেখিও!
[অফিসে কর্মচারী শফিক চাচা অনেকবার আমাকে বিয়ে করানোর জন্য বলেছে,চাচার একটা মেয়ের আছে সেই মেয়েটার সাথে আমাকে বিয়ে করাতে চাই)
আজ প্রায় অনেকদিন মিহির শুধু বায়না করে চলছে,তার একটা মাম্মা লাগবে মাম্মা লাগবে,কি করবো বুজতাছি না ছেলেটা কাঁদতেছে সকাল ধরে মুখে কিছু নিচ্ছে ও না,
(মিহির মন খারাপ করে বসে আছে)
আমি:- মিহির?
মিহির:-তুমি আমার সাথে কথা বলা লাগবে না
(একদম ওর আম্মুর মতো অভিমানি ছেলেটা)
আমি:-আমি তোমাকে নতুন একটা মাম্মা এনে দিবো,,,
(মিহির খুব খুশি হয়েছে,ওর খুশিতে আমার খুশি)
গল্পের মোড়............
মিহির চলো তোমার মাম্মার সাথে তোমাকে দেখা করিয়ে দি চলো(আমি)
মিহির:-চলো পাপা(খুব খুশি হয়ে আছে)
[আজ আমার বিয়ে হয়েছে,বাসর ঘরে ইশা বসে আছে,আমি বিয়ের আগে ওনার সাথে কখন কথা বলিনি শুধু নাম টা জানতে পেরেছি]
খাটের উপর যেই বসতে যাবো তখনই,
ইশা:-খবরদার আমার কাছে আসা চেষ্টা করবেন না,
মিহির:-মাম্মা আমি তোমার মিহির,(ভয় পেয়েছে ছেলেটা)
আমি:-(চুপ করে রইলাম)
ইশা:- এই কে তোমার মাম্মা,আমি কারও মাম্মা না,আর শুনুন মিষ্টার সাফাহেত আমার উপর অধিকার দেখাতে আসবেন নাহ,আমি বিয়েতে রাজি ছিলাম না,আমার বয়ফেন্ড আছে,আপনি আমাকে কাল ডিবোর্স দিবেন,আর আপনারা এই রুম থেকে যান,(রাগে গজগজ করছে)
আমি:-আচ্ছা সব হবে,আপনার বাবা বলেছে আপনি সকাল থেকে কিছু মুখে নেন নি,আমি আপনার রুমে খাওয়ার পাঠিয়ে দিচ্ছি,খাওয়া খেয়ে নিয়েন,
ইশা:- (চুপ করে আছে)
মিহির:- মাম্মা তুমি আমাদের উপর রাগ করে আছও,
ইশা:-এই ছেলে তোমাকে বলছিনা আমি তোমার মাম্মা না কথা কানে যায় না,যেমন বাপ তেমনি তার ছেলে বাদর কোথাকার যাও এখান থেকে,,,
মিহির:-(কেদেদিছে)
আমি:-চলো মিহির তোমার মাম্মা রাগ করে আছে,
কিছুখন পর...
(আমরা অন্য রুমে এসে মিহির কে শুয়ে দিয়েছি)
এই শুনো না আমাদের বাবুকে আমরা কিভাবে সামলাবো,আমার তো কোন এক্সপেরিয়ান্স নেই(মিষ্টি)
(জরিয়ে ধরে)বাবুর মাকে আমি যেমন করে সামলায় তেমন করে বাবুকে ও সামলাবো(আমি)
তোমার মুখে বাজে কথা ছাড়া আর ভাল কিছুই আসে না(মিষ্টি)
(কিল গুতো দিতেই থাকলো)
হঠাত মিহির এর ডাকে কল্পনায় থেকে বাস্তবে আসলাম
মিহির:-পাপা মাম্মা আমাকে বকা দিলো কেন,আমার মাম্মা লাগবে না,তুমি আমার মাম্মা আর তুমিই আমার পাপা,(কাদতেছে)
আমি:- মিহির তোমার মাম্মার মন জয় করতে হবে বুজছো,
সকালে....
ইশা:- শুনুন আমার ডিভোর্স লাগবে,আমি আমার বয়ফেন্ড এর কাছে চলে যাবো,,,
আমি:-মিহির কে স্কুলে দিয়ে,আপনাকে নিয়ে উকিল এর কাছে যাবো,,,আপনি রেডি হয়ে থাকেন আমি মিহির কে স্কুলে দিয়ে আসছি,
আমি:-মিহির বাবা চলো স্কুলে যাবে না?
উকিল সাহেব:-৬ মাস লাগবে ডিভোর্স হতে,সেই পযন্ত দুইজন এভাবেই থাকতে হবে,,
"গাড়িতে দুইজন দুই দিকে মুখ করে বসে আছি"
ইশা:- না না ৬ মাস কেন আমি ৬ মিনিট ও থাকতে পারবো না আপনাদের সাথে,(হঠাত চেচিয়ে বলতে লাগলো)
আমি:-না থাকলে চলে যান,
ইশা:-যাবো মানে,আমি একলা একটা মেয়ে কোথায় যাবো,একটা অসহায় মেয়েকে তাড়িয়ে দিতাছেন,
আমি:-(চুপ করে রইলাম)
ইশা:-আমি আপনাদের বাড়িতে থাকতে পারি এই ৬ মাস,কিন্তু আমার কয়েকটা শর্ত আছে,
আমি:- কি শর্ত বলেন?
ইশা:-আমার রুম আলাদা হতে হবে,আমাকে কোনো ভাবে ডিস্টার্ব করা যাবে না,আমার রুমে আসা লাগবে না,আমার রান্না আমি নিজেই তৈরি করে নিতে পারবো,আপনার ছেলে যাতে আমার রুমে না আসে তাকে বলে দিবেন,
আমি:-আপনি যত দিন চান থাকতে পারেন,শুনলাম আপনি এইবার অর্নাস ফাইনাল ইয়ারে,আপনি কলেজ যেতে পারেন,যত প্রকার হেল্প লাগে আমি করবো,
ইশা:-(না লোকটাকে যতটা খারাপ ভাবছি ততটা খারাপ না,কিন্তু বলদের মতো লাগে একদম সহ্য হয় না) ইশা মনে মনে বলতে লাগলো)
কয়েকদিন পর
(ইশার কলেজে গেলাম অর্নাস ফাইনাল ইয়ারে পরীক্ষা শুনলাম তাই পরীক্ষা ফ্রি দিতে আসলাম,নাহলে মেয়েটা পরীক্ষা দিতে পারবে না,ইশা সেটা জানে না)
ইশা:- আপনি এইখানে কেন এসেছেন?(ইশার কলেজের সামনে)
আমি:- একটু কাজ ছিলো,চলো একসাথে বাসায় যায়
ইশা:-ও হ্যেলো আমি আপনার বউ না যে অধিকার দেখাবে,আর মনে রাখবেন ৬ মাস পর আমাদের ডির্বোস হয়ে যাবে,,
ইশা কেরে ওনি(ইশার বান্ধুবীরা)
ইশা:-আমার সেকেন্ড হ্যান্ড হাসবেন্ড,(হাসতে লাগলো)
ইশার বান্ধুবীরা:- দেখ দেখ একদম মাস্টার মশাইয়ের মতো দেখতে,একটা মোটা ফ্রেমে চশমা,মনে হয় কিচ্ছু যানে না,(হাসতে লাগলো)
আমি:-(নিচের দিকে তাকিয়ে ভাবতে লাগলাম কেন ইশা অপমান করছে আমায়)
এই সাফায়েত সাহেব(কলেজের পিওন)
আমি:-জি কাকা?
কলেজের পিওন:-ইশা মার পরীক্ষা ফ্রির রিসিট টা তো নাও নাই,আরে ইশা মা কেমন আছও,তোমার তো পরীক্ষা ফ্রি দেওয়া শেষ,
ইশা:-কে দিলো আমার পরীক্ষা ফ্রি?
কলেজের পিওন:-কে দিবে আবার তোমার হাসবেন্ড সাফাহেত সাহেব,নাও রিসিট টা,,
ইশা:-(ইশার চোখ মুখে ধোয়াশা,এ আমি কি করলাম,যে মানুষটা আমার জন্য এতো কিছু করলো,আমি তাকেই এতোখন অপমান করলাম)না সরি বলতে হবে "সাফাহেত" এই সাদিয়া "সাফাহেত"কই গেলো?
সাদিয়া:- ওনি তো কখন হলো চলে গেছে!
[আমি সেখান থেকে তারাতারি চলে আসলাম]
আমি:-আমার মিষ্টি আজ বেচে থাকলে আমার মতো সুখি মানুষ ২য় টা খুজে পাওয়া যেতো না,ভাগ্য টা খারাপ আমার?ইশা তো আমার মিষ্টির মতো না,মিষ্টি শুধু পৃথিবীতে একটাই ছিলো,,
চলবে....
আজ সন্ধ্যায় ৭ টায় আরেকটা নতুন গল্প আসছে,

Post a Comment

0 Comments