তুমি আমার বাসায় ২ দিন থাকলে এমন কি ক্ষতি হয়ে যাবে বলো রানা(পায়েল)
আমি:-আরে আমার কাজ আছে তো তাই বাসায় থাকতে হবে!
পায়েল:- ২ দিন এর জন্য গেলে এমন কি ক্ষতি হবে বলো?
আমি:-যানো তো তোমার বাবা মা আমার উপর রেগে আছে?
পায়েল:-না বাবা মা একদম রেগে নাই,আমাকে ফোন দিয়েছে তো বুজো না কেন তুমি!
আমি:- আমি তোমাকে তোমার বাসা পযর্ন্ত এগিয়ে দিয়ে আসবো সোনা,,,
পায়েল:- যাবো না থাক!তুমি না গেলে আমি থেকে কি করবো,থাক যাবো না(ইমোশনাল ব্লেকমেইল করে)
আমি:-আচ্ছা বাবা যাবো যাবো,,,
(হঠাত আমাকে জরিয়ে ধরেছে,আমি ও জরিয়ে ধরলাম)
আমি জানি ওর বাসায় আমাদের ডেকেছে একমাত্র আমাকে অপমান করার জন্য,কারণ ১ বছর আগে আমি পারিসাকে নিয়ে পালিয়ে চলে আসছিলাম ওর বিয়ের আসর থেকে,ওর বাবা অনেক বড়লোক,আর আমি ছোট একটা কোম্পানিতে Job করি,সেলারী বেশি না তবে পারিসাকে নিয়ে সুখেই আছি,,,,
আমি রানা,একটা ছোট Job করি,আমাদের সংসারে কোনো অভাব নেই,না অর্থিক না ভালবাসার,মেয়েটা সব কিছু এক হাতে গুছিয়ে নিয়েছে,আমার বাবা মাকে আর আমাকে,
পায়েল:-রানা দেখো তো আমি কোন শাড়িটা পড়বো তুমি চয়েজ করে দাও তো,(একটা হাসি দিয়ে জিজ্গাসা করলো)
আমি:-(মেয়েটা খুব খুশি আজ ওর বাবার বাসায় যাচ্ছে)এই নিল শাড়িটা পড়ো!
পায়েল:- আচ্ছা দাড়াও আমি পড়ে আসছি,,
১০ মিনিট পর,,,,,
(চোখ ফেরাতে পারছিনা এতো মায়াবী একটা মেয়ে আমার বউ হয় কেমনে,সাথে সাথে জরিয়ে ধরলাম,ওর ঠোঁটে ভালবাসার একে দিলাম)
পায়েল:-দিনে দুপুরে রোমাঞ্চ করা হচ্ছে,ছাড়ো ছাড়ো কেউ দেখে পেলবে,
.......
পায়েল:- চলো বের হই,,,
"রিক্সা করে ১ ঘন্টা লাগবে ওর বাসায় যেতে"
(পুরোনো কথা মনে করতে লাগলাম,আমার জন্য এই মেয়েটা কি করে নাই ৪ বছরের রিলেশন আমার খরচ চালানো থেকে শুরু করে আমার পরীক্ষা ফ্রি পযর্ন্ত দিয়েছে এই পারিসা,এই মেয়েটাকে কষ্ট দিলে হয়তো বিধাতা আমাকে ক্ষমা করতো না)
[পায়েল আমার হাত ধরে কাধে মাথা দিয়ে আছে,খুব খুশি হয়ে আছে,আমি চাই আমার কষ্টের বিনিময়ে হলেও পায়েল যেনো খুশি থাকুন]
পাপ্পা:- কেমন আছও(পায়েলের বাবা)
আমি:-(আমি পা ধরে সালাম দিতে নিচু হলোম,অন্য দিকে ফিরে চলে গেলো পায়েল বাবা)
(একটু মন খারাপ হলো)
"সবাই খাবার টেবিলে বসে খাওয়ার খাচ্ছে"
পায়েলের বাবা:-পায়েল তোর হাসবেন্ড কি করে?বড় ব্যবসা নাকি বড় কেনো কোম্পানিতে আছে,
পায়েল:-(চুপ করে আছে)না বাবা রানা ছোট একটা কোম্পানিতে Job করে,
পায়েলের বাবা:-সেলারি কতো?
আমি:-বাবা ১২হাজার টাকা!
পায়েলের বাবা:- আমার বাসার দাড়োয়ানের বেতন কিন্তু ১৬হাজার টাকা তোমাকে থেকে বেশি.(একটা জয়ের হাসি দিলো)
পায়েল:- বাবা এসব কেন বলছো?
পায়েলের মা:- তো কেন বলবে না পায়েল,এই সেলারি কি ঠিক মতো চলা যায়,
আমি:-আমার খাওয়া শেষ,পায়েল আমি তোমার রুমের দিকে যাচ্ছি,(উঠে চলে আসলাম)
কিছুখন পর......
পায়েল:- সরি রানা,(জরিয়ে ধরেছে)
আমি:- আরে সরি কেন সোনা?
পায়েল:-বাবা যে এভাবে অপমান করবে আমি ভাবতে পারি নি,এসব জানলে কিন্তু আমি একদম আসতাম না,,
আমি:-আরে গুরুজন মানুষ অনেক কিছু বলতে পারবে,আমি কিছু মনে করিনি,
পায়েল:-(কাঁদতেছে মেয়েটা)আমি আর কখনও আসতে বলবো না প্রমিস,
আমি:-আরে আমার লক্ষীটি কাদে না বোকা,
চলো শুবে,,,
পায়েল:-এই বাবা তোমার জন্য একটা Job এর কথা বলেছে ৪০হাজার টাকা বেতন!
আমি:-তো আমি কি করবো!
পায়েল:-তুমি প্লীজ Job টাতে জয়েন করো!!তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ আরও উজ্জ্বল হবে!
(আমি বুজতে পারছি শশুড় মশাই একটা চাল গছাচ্ছে)
আমি:- পায়েল তুমি মানা করে দিও তোমার বাবা কে?
পায়েল:-কেন,তুমি সব সময় বলো আমার বাবা তোমাকে সহ্য করতে পারে না এখন যখন তোমাকে বড় একটা Job দিচ্ছে তুমি নিবে না কেন?
আমি:-পায়েল প্লীজ বুজার চেষ্টা করো,এই চাকরি টা আমি করতে পারবো না,
পায়েল:-(হঠাত ধাক্কা দিয়ে)কেন কেন কি হয়ছে,আমার বাপে চাকরি দিচ্ছে বলে নাকি তোমার অফিসে কোনো সুন্দরি রমনির জন্য চাকরি ছাড়তে চাচ্ছো না!
আমি:- পায়েল আজে বাজে কথা বলো না,
"তারপর কিছুখন আমাদের ঝগড়া হলো"
সন্ধ্যায় পায়েল কে খুজতেছি,,,
(হঠাত পায়েল এর বাবা বলতে লাগলো)
পায়েলের বাবা:- একবার শুধু চাকরি টা জয়েন করুক রানা তাহলে ওকে চৌদ্দশিখের জেলের ভাত খাইয়ে ছাড়বো,
পায়েলের মা:- কিভাবে?
পায়েলের বাবা:-এটা বড় কোম্পানি কয়েক কোটি টাকা লেনদেন হয় প্রতিদিন,তার থেকে কিছু সরিয়ে দিয়ে রানাকে ফাসিয়ে দিবো!
পায়েলের মা:-তো আমাদের পায়েলের কি হবে?
পায়েল এর বাবা:-আমাদের পায়েলকে বুজিয়ে শুনিয়ে আমার বন্ধুর ছেলের সাথে বিয়ে দিয়ে দিবো,(হাসতে লাগলো)
(আমি চুপটি করে সব শুনে পেললাম,তবে আমি তো এই ফাদে পা দিবো না,এই কথাটা কি পায়েল কে বলতাম না না পায়েল এমনিতে বিশ্বাস করবে না কারণও ও তার বাবাকে খুব ভালবাসে)
রাতে খাওয়ার টেবিলে......
পােয়ল এর বাবা:- রানা সাহেব তোমার জন্য একটা চাকরি দেখেছিলাম ভাল পোস্টে,
আমি:- জি বাবা পায়েল বলেছে,কিন্তু আমি এই চাকরি টা করতে পারবো না,
পায়েল:- বাবা ও চাকরি করবে আমি বললাম,
আমি:- (চুপ করে বসে থাকলাম)
পরেরদিন......
(পায়েল যখন নাই),,,,
পায়েলের বাবা:- কি বেপার তুমি চাকরি টা করবে না নাকি?
আমি:-বাবা আপনার সকল মতলব আমি সব জানি,
পায়েলের বাবা:- শুনো কতো টাকা চাও আমার মেয়েকে ছেড়ে দিতে তুমি?
আমি:-শুনেন বাবা পায়েলকে ভালবাসি,পায়েল কোনো পন্য নই,পায়েল আমার বউ,
পায়েলেরর বাবা:-আমার মেয়েকে কি ঠিক মতো খাওয়া পড়া দিতে পারও তো বাবা!আমি তোমার চাকরি টা জোগার দিসি একমাত্র আমার মেয়েকে একটু ভাল রাখার জন্য,আর তুমিই আমাকে অপমান করছো
(হঠাত কাঁদতে লাগল)
আমি:-(ভাবছিলাম হঠাত কাঁদতেছে কেন)বন্ধ করুন আপনার এসব নেকা কান্না আমি এখানে আসতাম না একমাত্র আপনার মেয়ের জন্য আসলাম আমি তো ওর মতো বোকা না,,,
পায়েলের বাবা:-তোমাকে আমার সম্পত্তি সব দিয়ে দিবো,,প্লীজ আমার মেয়েকে একটু শান্তি দিও(কাঁদতে কাঁদতে বলতেছে)দরকার হলে আমার সমস্ত্য সম্পত্তি তোমাকে দিবো।
আচমকা.......
ঠাসসসসসসসসস
(আমাকে থাপ্পড় দিলো কেন পায়েল,আমি তো কোনো দোষ করিনি)
আমি:- পায়েল???
(আমার কলিজাতে আঘাত লাগলো আমার পায়েল আমাকে থাপ্পড় দিলো)
পায়েল:-আমার বাবাকে এই রকম অপমান করার অধিকার কে দিয়েছে,আমার বলতে খারাপ লাগছে তোর মতো একজনকে ভালবাসছি,আমার বাবা কি চেয়েছিলো তার মেয়ে একটু ভাল থাকুক,তাই তোমাকে চাকরির অফার করেছেন,ছি তুমি এমন জানতাম না,তোর আমার বাবার সম্পত্তির উপর লোভ সেটা তো জানতাম না,তুই এখনই আমার বাসা থেকে বেরিয়ে যা,যা বলতাছি
আমি:-পায়েল তুমি ভুল বুজতাছো তুমি সব টা জানো না,চাকরির নাম করে আমাকে ফাসিয়ে দেওয়ার চাল চালছে,আর তুমি সব কথা ঠাসসসসসসসসসাস(আরেকটা থাপ্পড় দিলো)
পায়েল:- চুপ একদম চুপ,বেরিয়ে যা এই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যা,,,(কাদতে কাদতে)
(ভিশন একা মনে হচ্ছে,কি ভুলে আমার সাথে এমনটা করলো,চোখ দিয়ে পানি পড়তে লাগলো)
পায়েল:- একটা কথাও শুনতে চাই না তোর,তোকে ২ বছর ধরে কিনা করছি তোর জন্য আজ সকল,কার কারণে এতো দুর পড়ালেখা করোস সে আমি না করলে এতোদিনে ঘোড়ার ঘাস কাটতি!বেরিয়ে যা আমাদের বাড়ি থেকে,চাকরি টা যদি করতে চাস তাহলে আসিস আমি তো সংসার করবো,Good bye
(পায়েল এর কথা গুলা তীরের মতো আমার বুকে এসে লাগলো,কতো আদর ভালবাসা ছিলো আমাদের মাঝে এক নিমির্ষে সব শেষ হয়ে গেলো)
[পায়েল এর বাসা থেকে বাইরে আসলাম ]
(যাই হোক পায়েলের অবদার রাখবো আমি জেল খাটলে ও আমার পায়েল জেনো খুশি থাকে আবার ভিতরে যেতে লাগলাম)
পায়েল:- বাবা রানাকে ফাসানোর কেনো বেপার হলো,ওকে অপমান করছি যাতে চাকরি নিতে বাধ্য হয়,দেখবা সুরসুর করে এসে বলবে পায়েল আমি চাকরি টা করবো,আমার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে রানা বুজছো বাবা(বিজয়ের হাসি দিলো)
(পায়েল এসব কি বলতেছে,চোখ বড় হয়ে গেলো আমার,আমার পায়েল যাকে এতোটা ভালবেসেছি সেই আজ আমার সাথে বেইমানি করেছে)
পায়েলের বাবা:-পায়েল তোর দাদা আমাদের কিছু দেই নাই এ সম্পত্তি সব মালিক তোর হাসবেন্ড পাবে,,,,তোর হাসবেন্ড কে যদি কোম্পানির এমডি বানানো যায় তাহলে সম্পত্তি আমার হাতের মুঠোই,
পায়েল:- বাবা তুমি কোনো চিন্তা করো না ১০ হাজার কোটি টাকা আমাদের,রানাকে তো মাত্র ব্যবহার করতাছি,ওর বাঙ্গা ঘরে আমার মতো মেয়ে থাকবে এটা ইমপ্রোসিবল,,,এতো দিন ওর সাথে প্রেমে অভিনয় করেছি,
(কান্না আটকে রাখতে পারছিনা,পায়েল শুধু একবার সব মিথ্যা,আমি হাসি মুখে সব মেনে নিবো,,পায়েল আমার বুকটা খালি লাগছে মনে মনে বলতে লাগলাম)
চলবে.......
Next Coming soon
Follow plzzz
0 Comments